২০২৪ সালে নির্বাচনে লড়বেন ট্রাম্প

হোয়াইট ছেড়েছেন এক মাসের বেশি হয়ে গেছে। সেভাবে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে। কিন্তু আবার প্রকাশ্যে এসেই অভিযোগের ঝড় তুললেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত নির্বাচনে তিনিই জয়ী হয়েছেন দাবি করে অভিযোগ তুলেছেন কারচুপির। সেইসঙ্গে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন নিজ দলের সিনেটরদের, যারা তার অভিসংশনের পক্ষ নিয়েছেন।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) বক্তব্য দেয়ার সময় ট্রাম্প এসব বিষয় তুলে ধরেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আবার হাউজে (হোয়াইট হাউজে) ফিরবো। আমরা সিনেটেও জয়ী হবো এবং বিজয়ী হয়ে একজন রিপাবলিক্যান প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে ফিরবেন। আমি ভাবছি, কে হবেন সেই ব্যক্তি?’ এরপর ট্রাম্প হেসে বলেন, ‘কে, কে, কে হবেন সেই ব্যক্তি, আমি ভাবছি।’

এরপর ট্রাম্প সেইসব রিপাবলিক্যানদের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন, যারা তাকে অভিশংসিত করার জন্য পক্ষে কাজ করেছেন। তারাই গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ভয়াবহ হামলার উন্ধন যুগিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি এসময় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন। এর মধ্যে রয়েছেন সিনেটর মিট রমনি, প্যাট টমি এবং আইন প্রণেতা লিজ সিনে এবং অ্যাডাম কিনজিনজার।

ট্রাম্প এদিনও নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলেন। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি করে বাইডেন ক্ষমতায় এসেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘তারা শুধু হোয়াইট হাইজকে হারিয়েছে, কিন্তু কে জানে, কে জানে এ কথা।’ তৃতীয়বার নির্বাচন করে তাদের হারানোর প্রতিজ্ঞা করেন ট্রাম্প। বাইডেন সীমন্তরক্ষীদের নিয়ন্ত্রণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তবে আগামী নির্বাচনে অংশ নিলেও তৃতীয় কোনো রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছে তার নেই বলে জানান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা তৃতীয় দল তৈরি করবো না। আমরা রিপাবলিক্যান। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং আগের চেয়েও এখন বেশি শক্তিশালী। আমার নতুন পরিকল্পনা রয়েছে এবং গত দুই মাসে সে বিষয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

ক্ষমতা হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক সহিংসতা চালান ট্রাম্পের সর্থকরা। এর জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দুবার অভিশংসনের লজ্জায় পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল) সহিংসতায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসিত করে দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ। ২০১৯ সালেও অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন ট্রাম্প। তবে সেবার রিপাবলিকানশাসিত সিনেট পক্ষে থাকায় ক্ষমতা ছাড়তে হয়নি তাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *