ফ্রান্স না যুক্তরাজ্য- কার পক্ষে এরদোগান?

এরদোগান-বাইডেন বৈঠক ইতালিতে হবে নাকি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় হবে এ নিয়ে একটা ধোঁয়াশা ছিল। তুরস্কের পক্ষ থেকে এই দুই নেতার মিটিং করানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। এবার বাইডেনের সাথে দেখা না হলে লিরার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তাই এই বৈঠক হতেই হবে।

ইতালিতে জি২০ সম্মেলনে হলেই ভালো, না হলে সেই গ্লাসগো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শেষ পর্যন্ত ইতালিতেই তাদের বৈঠক হয়। যদিও বৈঠকে দু দেশের মধ্যের অমীমাংসিত কোনো বিষয়েই সমঝোতা হয়নি। তবে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দুই নেতা। যদিও এগুলো লোক দেখানো। তবুও তুরস্কের জন্য কম কিসের!

বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক তো হয়েছে! এখন এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখাবে সরকারি পক্ষ।

ইতালি এবং ফ্রান্সের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এরদোগান ঘোষণা দেন। ইতালি, ফ্রান্স এবং তুরস্ক যৌথভাবে সামরিক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করবে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ব্রিটেনের সাথে চলমান বিবাদ নিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্য যদি সমুদ্রে মাছ ধরা নিয়ে ফ্রান্সের সাথে সমঝোতায় না আসে তাহলে ফ্রান্স ব্রিটেনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে যাবে।

এরদোগানের ইতালিতে সংগঠিত জি২০ সম্মেলন থেকে সরাসরি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় কোপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের কথা থাকলেও তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। কারণ, ব্রিটিশ সরকার এরদোগানের সফর সঙ্গীদের সংখ্যা এবং তাদের ব্যবহৃত গাড়ির সংখ্যাও কমিয়ে আনতে চাপ দেয়। অর্থাৎ এরদোগানের সিকিউরিটি প্রোটকল সাধারণ একজন রাষ্ট্রপ্রধানের পর্যায়ে নামিয়ে আনে। যেটা তিনি মেনে নিতে পারেননি।

শেষ পর্যন্ত এই নিরাপত্তা প্রটোকলের কারণে এরদোগান কোপ-২৬ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান বাতিল করেন। যদিও পরবর্তীতে ব্রিটিশ সরকার এরদোগানকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমমানের প্রটোকল দেয়ার প্রস্তাব দেয় কিন্তু তাতে এরদোগানের মন গলাতে পারেনি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *