ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে গলায় গামছা দিয়ে রাস্তায় নামানো দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (১০ অক্টোবর) এক মানববন্ধনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোনো আইন মানে না। অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে শুধু ভিন্নমত পোষণের জন্য চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এটা তারা পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি অব ল ব্রেকিং’। অর্থাৎ আইন ভাঙার বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের অনেক শিক্ষক আছেন যাদের নৈতিক স্খলন ঘটনার তদন্ত হয়েছে, তদন্তে সুপারিশ হয়েছে। তারপরেও তাদের চাকরি যায়নি। পিএইচডি-এমফিল গবেষণায় চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত হয়েছে এরকম অনেক শিক্ষকের চাকরি যায়নি। তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে। আজকের পত্রিকায়ও এসেছে এসব খবর।সেখানে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযু’দ্ধ অবমাননার দায়ে মার্কেটিংয়ের শিক্ষক মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করাটা কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না রুহুল কবির রিজভী।
এজন্য উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর উনি আনন্দে আহ্লাদিত যে, ১০ টাকার মধ্যে একটি চাপ, একটি সিঙ্গারা, একটি সমুচা পাওয়া যায়। কি আনন্দিত তিনি! তিনি আইন ভাঙছেন। নৈতিক স্খলনের জন্য দায়ী এই ভাইস চ্যান্সেলর, এই ভাইস চ্যান্সেলরকে গলায় গামছা দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে আনা দরকার। না হলে সুশিক্ষা থাকবে না এবং প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ থাকবে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একেএম ওয়াহেদুজ্জামান এ্যাপেলোকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।