শীঘ্রই প্রকাশিত হচ্ছে সরকারি তিতুমীর কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম সাকিবের প্রথম কবিতার বই “আঙুলের ফাঁসি চাই”।
বইটিতে কবি খুব সুন্দরভাবে যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখগুলোকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। বইটিতে সমাজের অনেক গুরুতর বিষয়কে কবি গুরুত্বের সাথে তার কবিতায় স্থান দিয়েছেন। কথা বলেছেন, নষ্ট রাজনীতির নামে বেড়ে উঠা সকল তেলবাজের বিরুদ্ধে, কাজ ফাঁকি দেয়া আমলা, কামলার বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে কবি তার কবিতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন,
“চুপ থাকা মানেই স্বাধীনতা,
চুপ থাকা মানেই বেঁচে থাকা,
চুপ থাকা মানেই
পোস্টারে সেঁটে থাকা মুখচ্ছবির ভাসমান জয়জয়কার।”
কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন, বর্তমান সমাজের সবচেয়ে বড় মহামারি ধর্ষণকে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কবির কয়েকটি কবিতা হৃদয়ে খুব গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যায়।
কবি মানুষকে মানুষের পাশে থাকার জন্য, বিপদে হাত ধরে রাখার জন্য আহবান করেছেন তার কবিতায়। তিনি বলেছেন,
“হে পৃথিবীর শ্রেষ্ট সুন্দর,
মানবতার রজ্জু তোমরা শক্ত করে ধরো।”
কবি অন্যায়ের কাছে যতটা শক্ত ও অনমনীয় ঠিক তেমনি “প্রেম” শব্দটির কাছে কবি খুব বিনয়ী ও নরমও বটে। প্রেমিকার উদ্দেশ্য কবি লিখেছেন,
“তার কাজল কালো চোখ আর অবাধ্য নীরব কেশ,
আমাকে করে তুলে উদাসীন মেঘ।
তাঁর স্বর্গীয় ঠোঁট আমাকে দিয়ে যায় শরাবের দেহ।”
কখনো আবার ভীষন বিরহ ও অভিমানে লিখেছেন,
“নিঃশব্দে বেদনার ছোঁয়া দিয়ে চলে গেলে,
ধন্যবাদটুকু কে নিবে বলো?”
যখন আবার সেই অভিমান কেটে গেছে, তখনি আবার এক আকাশ দুঃখ জমা করে লিখেছেন,
“সম্ভাবনার দুয়ারে শুধু তোমারেই দেখতে পাই”।
কবি প্রেম, বিরহ ছাড়াও যাপিত জীবনের কষ্ট নিয়ে লিখেছেন,”দুঃখ আমায় আদর করে যন্ত্রণা দেয়”।
কখনো কবি লিখেছেন বাবার প্রতি শতকোটি অভিযোগ নিয়ে আবার কখনো লিখেছেন মাতৃভূমির প্রতি ভীষণ দায়বদ্ধতা নিয়ে।
নিজের প্রথম বই সম্পর্কে আমিনুল হুদা সাকিব বলেন, “আঙুলের ফাঁসি চাই” বইটি আমার প্রথম কবিতার বই। আশা করছি বইটি পাঠকমহলে বেশ সাড়া ফেলবে বলে আশা করছি।
“ঘাসফুল প্রকাশনী”র প্রকাশনায় বইটির প্রচ্ছদ করেছেন, পরাগ ওয়াহিদ। বইটি শীঘ্রই অনলাইন বুকশপ রকমারি. কম এ পাওয়া যাবে এবং প্রকাশনী থেকে বা লেখকের কাছ থেকেও সংগ্রহ করা যাবে। বইটির মলাট মূল্য মাত্র ১৬০ টাকা।